একজন সন্তানের কাছে মায়ের জন্য কোন দিবস হয় না। হতেও পারে না। যদিও বিশেষ একটি ঘটনাকে স্মরণ করে মা দিবস নামক একটি দিবস চালু হয়েছে এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তা পালনও করছে। যেহেতু দিবস সেহেতু ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে কিছু লিখাটা খুব বেশী পন্ডিতি জাহির হবে না বলেই মনে হয়।
আমার মা আছে। একজন গর্ভধারিনী মা। আরেকজন শ্বাশুড়ী মা। নিজের কন্যা হিসেবে মা। আর আছে দুই শ্যালিকা যারা স্ত্রীর দিক দিয়ে বোন হলেও দৃষ্টিভঙ্গীতে মায়ের জাত। এছাড়া সন্তানদের জন্য জীবন যুদ্ধে লড়াই করা একজন সংগ্রামী নারীকে মায়ের আসন দিয়ে রাখা আরেকজন মা। সকল মায়ের কাছে ঋণী আমি। এই ঋণ শিকারে আমার কোন লৌকিকতা নেই। কারণ আমি আসলেই ঋণী। ★ কেননা আমার গর্ভধারিনী মা আমাদের তিন ভাই ও বোনকে নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়েছেন যা গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা নয় কোন ত্যাগ শিকারেই বিনিময় হতে পারে না। ★আমার শ্বাশুড়ী মা শতভাগ সহজ সরল মানুষ। যিনি নিজে সন্তানদের বিশ্বাস করে ও আগলে রেখে চারটি সন্তানকেই গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে ভূমিকা রেখেছেন। ★আমার মেয়ের কথা কি বলবো- মেয়ের বাবা না হলে বুঝতামই না,জগতে আমি ভালো থাকার জন্য কার হৃদয়ের টানে কোন স্বার্থ নেই। ★নারী দুই প্রকারের-একটা মায়ের জাত আরেকটা প্রিয়ার জাত। আমার দুই শ্যালিকা প্রিয়ার জাত হলেও মানসিকতায় আমি মায়ের জাত হিসেবে লালন করি। কারণ তাদের সরলতা এবং আমার সন্তানদের প্রতি তাদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ। ★ সন্তানদের নিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করা এক সংগ্রামী মাকে আমি মা হিসেবেই শ্রদ্ধার আসনে রাখতে বাধ্য। কারণ তার নিজের সুখ ও ভোগ বিবেচ্য বিষয় হিসেবে আমার জানার পর বোধগম্য হয় নাই। যিনি আমাকেও পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা মানসিকভাবে লালন করেন।
# আমার সৌভাগ্য আমায় ঋণের জালে আবদ্ধ করা সকল মা জীবিত আছেন। উনারা সুস্থতার সাথে নেক হায়াত নিয়ে বেঁচে থাকুক – বিশ্ব মা দিবসে এই প্রার্থনাই করছি সৃষ্টিকর্তার নিকট।
আবারো বলবো- মায়ের প্রকাশ মননে।। সকল মায়ের প্রতি রইলো এই দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা।
(বিশ্ব মা দিবসে এক মায়ের সন্তান মোহাম্মদ আক্তার আলমের ব্যক্তিগত কথন,কাউকে দেখানো নয় ভিতরে লালনকৃত আবেগের বিনিময়হীন বহিঃপ্রকাশ। তারিখঃ করোনার বছর ১০ মে)