লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের কিছু অনুপ্রবেশকারী হাইব্রীড নেতাদের বিনয়ের সাথে বলতেছি-কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেইসবুকসহ কোনো প্রচার মাধ্যম বা আড়াল থেকে আবুল কাশেম চৌধুরীকে নিয়ে মিথ্যা,অবান্তর বা হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলবেন’না বা লিখবেন’না৷ লিখে বা বলে উনার বা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না৷ আপনাদের অসৎ স্বভাব ও কর্ম এখনো পূর্বের মতোই আড়াল থেকে বিষক্রিয়ার মতো ছড়াচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন তখন যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিছিল আর অপঃপ্রচার চালিয়ে ছিল তারাই আজ আবুল কাশেম চৌধুরীর পিছন থেকে ছুরি বসাচ্ছেন৷ আবুল কাশেম চৌধুরী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা (১৯৬৬ ইং হতে ১৯৭৫ইং), সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ (১৯৭৬ ইং হতে ১৯৯১ইং), সাবেক সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ (১৯৯২ ইং হতে ২০০৩ইং), সদস্য জেলা আওয়ামীলীগ ১৯৯৫ইং হতে বর্তমান পর্যন্ত )। আবুল কাশেম চৌধুরী ২০০৩ইং সালে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ ভোটে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে সফলতার সাথে ২০১৯ ইং সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন৷ আর যেই উপজেলা ছিল আওয়ামী কর্মী শূণ্য,আজ তার অবদানে সেই ইউনিটটি কিনা জেলা আওয়ামীলীগকে হাজার হাজার কর্মী দ্বারা প্রানবন্ত করেছে। যিনি এখন চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ তার এই রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ভোগের তো কোন চিহ্নও নেই বরং ত্যাগ রয়েছে সীমাহীন৷
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভালোবাসা হৃদয়ে লালন করার অপরাধে তাকে ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে বিএনপি- জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর একই সালের ৩০ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির পাশের গ্রাম দক্ষিণ জয়পুর সাহা পাড়ায় বিএনপি জামাত জোটের সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে এলাকাবাসী ওনাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী গুডহিল তারপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আলরাজী হাসপাতালে চিকিৎসারত থাকা অবস্থায় ২০০২ সালের জানুয়ারী মাসে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফররত থাকায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মরহুম আঃ সামাদ আজাদ,তৎকালীন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম কাজী ইকবাল,তৎকালীন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ কে এম শাহাজাহান কামাল এমপিসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অনেক নেতা হাসপাতালে ওনার চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি ওনাকে দেখতে আসেন৷ তারপর সুস্থ হয়ে বাড়ি আসার পর আরো তিন বার উনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়, মানুষের দোয়া ও আল্লাহ পাকের অশেষ কৃপায় উনি এখনো বেঁচে আছেন, যারা উনাকে গুলি করেছেন তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এবং ক্ষমা প্রার্থী হয়েছেন তা তখনকার থানা পুলিশসহ অনেকেই জানে। উনি কোনো প্রতিহিংসায় যান নাই,
আর তিনি সুস্থ হয়ে আজ অবধি প্রায় ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একাধিক হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ৩৩ টি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা মোকাবিলা করে ৭৫ বছর বয়সেও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছেন এমনকি উনার পরিবারের বড় ছেলে মিজানুর রহমানসহ পরিবারের অনেক সদস্যেই হামলা মামলার জেল জুলুমের স্বীকার হয়েছেন।
এসব মামলায় তিনি মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান৷ যার রাজসাক্ষী হলো তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক,সাবেক আইনমন্ত্রী ও বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. আঃ মতিন খসরু৷
অতএব যারা আবুল কাশেম চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বা আড়াল থেকে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন তাদেরকে উনি ভালো করেই চিনেন ও জানেন৷
সুতরাং সাবধান করা হচ্ছে। আবুল কাশেম চৌধুরী যেমন ছিলেন তেমনই আছেন আর থাকবেন৷ কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করে তাকে মুজিব আদর্শ থেকে ধমিয়ে রাখা যাবেনা৷ ইনশাআল্লাহ্।
(সূত্রঃ চরশাহীর ছাত্রলীগ নেতা আরমান হোসেন রকির ১২ মে ২০২০ তারিখের ফেইসবুক আইডি)