হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
কতো মানুষ শুয়েছে বিছানার পরে,
কতো মানুষ কবরে।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
তাদের দেখে তোমার আতঙ্কে বুকে যে কতো ভয় জমে থাকে।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
কতো গরীবের বুকে হাহাকার,
কতো মানুষের কণ্ঠে চিৎকার।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
কতো সংসারের কতো নায়ক হলো বেকার।
কতো শত মুখরিত পরিবার
হলো যে নির্বিকার।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
দেখি না পথে ছুটে চলা জনতা,
দেখি না চলমান যান,
দেখি না শ্লোগান তারুণ্যের কণ্ঠে
জীবনের জয়গান।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
সুখী জীবনের সূর্য যে গেলো অকালে অস্ত।
খেলায় মগ্ন চপল মেয়ে ভয়ে হলো ত্রস্ত।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
ঘুমভাঙানো পাখিটা সুখেতে আর ডাকে না,
তুমি এসেছো তাই খেলার সাথীরা আমার আজ কোন খোঁজ রাখে না।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
নীড়ের পাখি নিজেকে রেখেছে নীড়েতে স্বেচ্ছা বন্দি,
চঞ্চল শিশুটি মৌনতার সাথে করেছে গোপন সন্ধি।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
আগামীর ভবিষ্যৎ যেতে পারে না স্কুলে,
মুখথুবড়ে পড়েছে যেনো রঙিন স্বপ্ন ভুলে।
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
কতো জননী রয়েছেন দোলাচালে,
তার সন্তানের সোনালি সূর্য গেলো বুঝি অস্তাচলে!
হে করোনা,
তুমি এসেছিলে বলে,
প্রাণের ঝুঁকি নেয় যে কতো প্রাণ,
বয়ে চলে ভীতু জীবন,
বুঝতে পারে না জীবনপাখি তার উড়াল দেয় আকাশে কখন।
হে করোনা,
এবার বিদায় নাও
দূরে চলে যাও,
আর পারি না সইতে,
বড়ো সাধ জাগে মানুষের সাথে মনের কথা কইতে।
আবার যেনো ফিরে পাই সেই খুশির জীবন হাসি আনন্দে ভরা,
হে পরোয়ার দাও ফিরিয়ে সুখের বসুন্ধরা।।
★ নোটঃ অনিয়মিত কাব্য চর্চা করা নাজমুস সায়াদাত হোসেন পূণ্যের আরেক পরিচয় হচ্ছে- তিনি লক্ষ্মীপুর ডিআইও ওয়ান ও লক্ষ্মীপুর মডেল থানার সাবেক ওসি মোঃ ইকবাল হোসেনের সুযোগ্য সন্তান।