আওয়ামী লীগ আমলের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি আমলের দুই মন্ত্রীর সরল বক্তব্য স্টাডি করলে যা পাওয়া যায়-
আমাদের দেশে যেনাহ ব্যভিচার হালাল, বিয়ে হারাম। কেউ যদি নিজ প্রয়োজনে দ্বিতীয় বিয়ে করে, তবে তাকে নিয়ে চায়ের দোকানে রসালো আলাপ আলোচনা হয় ।অথচ আমাদের অধিকাংশ মানুষই ইসলামের ছায়াতলে নিজেকে দেখতে পছন্দ করে । যাক মূল কথায় আসিঃ- আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনীতি একটা পেশা । এখানে দীর্ঘদিন একজন মানুষ রাজনীতি করে নেতা হয়, মন্ত্রী হয়। জনগন মিথ্যা কথার আশ্বাস শুনতে ভালবাসে। যেমন যে ওয়াজে হুজুর মহিলাদের নিয়ে রসালো কথা বলে,সেই হুজুরের মাহফিলে শ্রোতাও বেশী হয়। যে হুজুর যুক্তি দিয়ে ঠান্ডা মাথায় ওয়াজ করে সেই হুজুরের মাহফিলে শ্রোতা কম হয়। কারণ মানুষের মগজে এমন ভাবে চিন্তা চেতনা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে- সাধারন মানুষ রগরগে ভাষায় ওয়াজ ও বক্তব্য শুনতে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছে।
বিএনপি আমলে বিমান বাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর মন্ত্রী আলতাফ হোসেন বলেছিলেন , আল্লার মাল আল্লাহ নিয়ে গেছেন । স্বরাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী লুৎফর রহামন বাবর বলেছিলেন, উই আর লুকিং ফর শত্রুজ। সারা দেশে এই দুই জনকে নিয়ে কত ট্রল আর কত সমালোচনা । কারন এরা দুজন মিথ্যা কথা সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে পারেন নাই ।কারন পেশাদার রাজনৈতিক ছিলেন না।
আমাদের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেবও পেশাদার রাজনৈতিক ব্যক্তি নয় তাই তিনি সরল ভাবেই বলেছেন – ভারত যেন শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখে। আসলে তিনি যা বলেছেন ভারত সরকারকে তাই তিনি প্রকাশ করেছেন। পেশাদার রাজনৈতিক হলে হয়ত এই ভাবে কথা বলতেন না। এবার উনার সমালোচনা আওয়ামী শিবির থেকেই উঠেছে । উনি আওয়ামীলীগের কেউ না।
উপমহাদেশের রাজনীতিতে সত্য কথা বলতে মানা। বলতে হবে মিথ্যা। হাজার বছরের ইতিহাস পড়লে দেখা যাবে মানুষ মিথ্যাটাকেই পছন্দ করে ।তাই তো এ ভারতীয় উপমহাদেশে ভিনদেশী শাসকরা শাসন করার সুয়োগ পেয়েছে। কারন ভিন দেশী শাসকরা এদেশেরে মানুষকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করেনি। জনগন যে ভাবে থাকতে চেয়েছে ঠিক সেই ভাবেই জনগনকে থাকতে দিয়েছে। তার ফল হল কে দিল্লীর সিংহাসনে তা নিয়ে জনগন তেমন মাথা ঘামায় নি। আবার এক শাসককে যখন অন্য আরেক জোতদার ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে তখনও সাধারন জনগন আগের শাসকের পক্ষে রাস্তায় নামেনি। সাধারন জনগন শুধু তামশা দেখেছে।
হয়ত বর্তমানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে জনগনের চিন্তাচেতনায়। তবে যে হারে আসার কথা সেই ভাবে আসছে না।
লেখকঃ আইনজীবী, লক্ষ্মীপুর জজ কোর্ট।।