সংবাদদাতাঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড চররুহিতা গ্রামের
মজিবুল হকের পুত্র আজগর একই গ্রামের মামলাবাজ ও নিজকে পুলিশের সোর্স দাবী করা জামালের হয়রানীতে পালিয়ে বেড়াচ্ছ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, একই গ্রামের জনৈক নাছিমা বেগম সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ আছে মর্মে বাদী হয়ে আজগরকে মিছ মামলা ১৪৮/২০২১ তারিখ ৮/২/২০২১- এ অভিযুক্ত করে। উক্ত মামলা পরবর্তীতে নিজ থেকে প্রত্যাহার করে নেয় নাছিমা বেগম। নাছিমার মামলা প্রত্যাহারের পর
চররুহিতা ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত মনোয়ার আলীর পুত্র জামাল নাছিমার দাবীকৃত ও মামলা প্রত্যাহারকৃত জমি বায়না করছে মর্মে আজগরদের সাথে বিবাদে জড়ায়। আজগরের পিতৃপুরুষদের ৫২ বছর ধরে বসবাস করা সম্পত্তিকে নিজের দাবী করে ৭ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে থানায় অভিযোগ করে জামাল। দেওয়ানী সংক্রান্ত অভিযোগ থানায় সমাধান না হওয়ায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর ৮৫/২০২২ তারিখ ২০/১/২২ মামলা দায়ের করে জামাল। মামলা দায়েরের পর মজিবুল হকের পুত্র আজগরকে স্থায়ী শত্রু হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আজগরের ৬ বছরের ইজারাকৃত পুকুরে মাছ ধরতে গেলে জামাল বাধা দেয় ও মারধর করে। আজগর তখন জিআর ৭৭/২০২২ তারিখ ১৭/২/২০২২ দায়ের করে। কাউন্টার মামলা হিসেবে জামালের স্ত্রী জাহানারা বেগম জি আর ৮০/২০২২ তারিখ ১৮/০২/২০২২ দায়ের করে। পরবর্তীতে আজগরদের সাথে বিগত সময়ে চলা দেওয়ানী মামালা ৫৯/২০২১ এর এক বিবাদী ছাকায়েত উল্যার সন্তান শাহাদাতকে দিয়ে জিআর ৩১৬/২০২২ তারিখ ১১ জুলাই ২০২২ দায়ের করে। যাতে ১ নং স্বাক্ষী সেই জামাল। সম্প্রতি চররুহিতার এক মহিলা খোশন বেগম বাদী হয়ে ২১/০৮/২০২২ তারিখে মামলা দায়ের করে ও উক্ত মামলায় আজগরকে আসামী করা হয়। খোশন বেগমের ভাই জবু উল্যার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আজগরকে আমরা চিনি না। তাকে আমরা আসামী করি নাই। তবে নারী শ্রমিক খোশন বেগম একাধিক লোকের কাছে বলেছেন, জামালের কাছে আমার কিছু জমির দলিল আছে। ঐগুলো ফেরত চাইলে জামাল তখন আজগরের বিরুদ্ধে মামলা করলে জমির দলিলও ফেরত দিবে এবং আমাদের উপকারও করবে। তাই আজগরকে আসামী দিয়ে মামলা করি বলেও জানান খোশন বেগম। মজিবুল হকের পুত্র আজগর অনলাইন বর্তমান বাংলা টুয়েন্টিফোরকে বলেন, নাছিমা বেগমের হাত ধরে আমার বিরুদ্ধে জামাল নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছে, তার স্ত্রীকে দিয়ে মামলা করিয়েছে, মাছ লুট করেছে,মারধর করেছে, জনৈক শাহাদাতকে দিয়ে মামলা করিয়েছে এবার নারী শ্রমিক খোশন বেগমকে দিয়ে প্রতিহিংসার মামলা দিয়েছে,আমি এখন ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। আজগর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জামাল কি এ জেলার এরশাদ শিকদার? জামাল নিজকে পুলিশের লোক বলেও দাবী করে বলে আজগর জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামালের বক্তব্যের জন্য ফোন দেওয়া হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে ও সাংবাদিক পরিচয় দিলে উনি বেড়ীর দিকে গেছেন এবং পরবর্তীতে জামালের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জামালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজগরের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকট দাবী জানানো হয়েছে।