রামগঞ্জ সংবাদদাতাঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব করপাড়া গ্রামের ঠাকুরবাড়ীতে চাচা মজিবুল হকের সম্পত্তি স্থায়ীভাবে দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে মজিবুল হকের মৃত ভাই শামছুল হকের তিন মেয়ে। পার্শ্ববর্তী চাটখিল উপজেলার পশ্চিম শোশালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র আবুল কাসেম ও কাসেমের নেতৃত্বে গ্রামে সম্পত্তি জবরদখল সিন্ডিকেটকে হাত করে তিন ভাতিজি এমন স্বপ্ন দেখছে বলেও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিন পরিদর্শন,ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসীর বক্তব্য এবং একাধিক মামলার কাগজ-পত্রাদি সূত্রে জানা যায়, করপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব করপাড়া গ্রামের মৃত নুর মিয়ার পুত্র মজিবুল হকের ভাই শামছুল হক ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারী মৃত্যুবরন করেন। ভাই জীবিত থাকা অবস্থায় দুই ভাইয়ের সম্পত্তি নিয়ে কোনো বিরোধ ছিলো না। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন থাকায় মজিবুল হক বাড়ীতে না গিয়ে ঢাকায় অবস্থান করতেন এবং তার সম্পত্তিও ভাইকে দেখা-শুনা করার দায়িত্ব প্রদান করেন। বাবা শামছুল হকের মৃত্যুর পর চাচা মজিবুল হক যেনো বাড়ীতে আসতে না পারে তা ঠেকানোর প্রাথমিক কৌশল গ্রহন করে ভাতিজিরা। কৌশলের অংশ হিসেবে নিজেদের ঘর নিজেরা ভাংচুর করে ২০২১ সালে চাচা মজিবুল হকের বিরুদ্ধে ফাঁড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় ভাতিজিদের সতর্ক করে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের নির্দেশনা দেয়। নিজেরা চাচার বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী সাজিয়ে চাচার সুনাম নষ্ট করতে ব্যর্থ হওয়ায় চাটখিলের আবুল কাসেম গংদেরকে সম্পত্তির লোভ দেখিয়ে চাচার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয় বলে চাচা মজিবুল হক ক্ষোভের সাথে জানিয়েছেন। মৃত সামছুল হকের তিন মেয়ে ও আবুল কাসেম গংরা ৭ বছর পূর্বের ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ তারিখের স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে মজিবুল হকের সম্পত্তি জবরদখলেরও চেষ্টা করে। যার প্রেক্ষিতে জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে মজিবুল হক সি আর ৩৭৫/২১ মামলা রুজু করে। জালিয়াতি করেই ক্ষান্ত হয়নি কাসেম গং। আবুল কাসেম গংরা মজিবুল হকের নিকট চাঁদা দাবী করলে মজিবুল হক ২০২১ সালে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে,যার নম্বর ৩২০/২০২১। একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলমান থাকার পরেও চাচাকে ভিটে ছাড়া করতে এবার মৃত শামছুল হকের তিন মেয়ে চাচার দখলীয় সম্পত্তিতে লাগানো নানা ফল গাছ ২৯ সেপ্টেম্বর উপড়ে ফেলে। ভূক্তভোগী মজিবুল হক বলেন, ভাই জীবিত থাকা অবস্থায় কখনো টু শব্দ হয় নাই। ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়ে জানা যায় যে, ভাইয়ের পুত্র সন্তান না থাকায় বিয়ে হয়ে গেলেও স্বামীর বাড়ীতে না গিয়ে বাবার বাড়ীতে থাকা তিন মেয়ে মিলে ভাইয়ের নিকট থেকে সম্পত্তি লিখে নিয়ে যায়। এই শোকে ভাই স্ট্রোক করে মারা যায়। ভাতিজিরা নিজেরা সম্পদ লোভী হওয়ায় এবং সমাজের খারাপ প্রকৃতির কিছু দুষ্টু লোকের প্রলোভনে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি এমন বিশৃংখলাকারীদের দৌরাত্ম বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে অভিযুক্ত হাছিনা বেগমের বক্তব্যের জন্য ফোন দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ না করায় উনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই। আরেক অভিযুক্ত আবুল কাসেমের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়াও সম্ভব হয় নাই।